জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছাত্রীদের নিয়ে করা আপত্তিকর বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবির) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে জাবির উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে মুঠোফোনে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন তার মন্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন বলে জনসংযোগ কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অডিওটি এডিট করা বলেও দাবি করেছেন শাবিপ্রবি উপাচার্য।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন শাবিপ্রবি উপাচার্য।
অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন জানান, তার বক্তব্য সম্পাদনা (এডিট) করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। এতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট সকলেই আহত হয়েছেন। তিনি এ বিষয়টি অনুধাবন করছেন।
এছাড়া তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদার ও প্রগতিশীল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।
এর আগে শাবিপ্রবির উপাচার্যের পদত্যাগের একদফা দাবিতে এখন আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের সহজে কেউ বউ হিসেবে নিতে চায় না’– এমন একটি মন্তব্যের সূত্র ধরে নতুন বিতর্কে জড়িয়েছেন শাবিপ্রবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
এ মন্তব্যের প্রতিবাদে গত বুধবার ফরিদ উদ্দিন আহমেদের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ পৃথক বিবৃতিতে ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এরপর গত শনিবার বিকেলে ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে প্রতীকী অনশন এবং মধ্যরাতে মশালমিছিল করেন জাহাঙ্গীরনগরের ছাত্রীরা।